নতুন পানীয় ‘গাজা-কোলা’ যুক্তরাজ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে

সম্প্রতি লন্ডনে (যুক্তরাজ্য) একটি নতুন পানীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। “গাজা কোলা” নামের এই পানীয়টি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে “গণহত্যামুক্ত” এবং “বর্ণবৈষম্যমুক্ত” পণ্য হিসেবে ইতোমধ্যেই সারা ফেলেছে। এই পানীয়টি তাদের জন্য যারা ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন দেখিয়ে বৃহৎ কোম্পানিগুলোর পণ্য বর্জন করতে চান।

২০২৩ সালের নভেম্বরে ওসামা কাশু নামে এক ফিলিস্তিনি কর্মী এই গাজা কোলা তৈরি করেন।এটি তার বাণিজ্যিক উদ্যোগ হলেও এর পিছনে রয়েছে ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সমর্থন এবং ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মিশন। পানীয়টি তৈরি হয় সাধারণ কোলা উপাদান থেকে,তবে এর স্বাদ এবং মিশ্রণ আলাদা।

লন্ডনের হোলবর্ন এলাকার হিবা এক্সপ্রেস নামে একটি ফিলিস্তিনি ও লেবানিজ খাবারের রেস্তোরাঁ থেকে গাজা কোলার যাত্রা শুরু হয়।রেস্তোরাঁটি ফিলিস্তিন হাউস নামে একটি বহুতল ভবনের নিচতলায় অবস্থিত।ভবনটি আরব ঐতিহ্যের স্থাপত্যে নির্মিত।প্রতিটি ক্যানের গায়ে খফিয়ার প্যাটার্নের সাথে আরবি ক্যালিগ্রাফিতে লেখা “গাজা কোলা”।

ওসামা কাশু জানান,গাজা কোলা তৈরির প্রধান কারণ হলো সেইসব কোম্পানির পণ্য বর্জন করা যারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সমর্থনে ভূমিকা রাখে।গাজা কোলার লাভের পুরো অংশ গাজা শহরের আল-করামা হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ড পুনর্নির্মাণে দান করা হচ্ছে। গাজা কোলা ইতোমধ্যেই স্থানীয় ফিলিস্তিনি রেস্তোরাঁ এবং মুসলিম রিটেইলারের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করেছে। ৫০০,০০০ ক্যান ইতোমধ্যে বিক্রি হয়েছে।যদিও বড় বাজারে এই পানীয় প্রবেশ করানো কঠিন হয়েছে,তবে এটি অনলাইনে ১২ পাউন্ডে ছয় প্যাক হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। গাজা কোলার মতো উদ্যোগ শুধু একটি পানীয় নয় এটি ফিলিস্তিনের মানুষের অধিকার,সংগ্রাম এবং দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক অনন্য প্রতীক।

তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা