ডেকোরেটিভ পেইন্ট সাধারনতঃ ২ প্রকার। তেল ভিত্তিক (Water Based) এবং পানি ভিত্তিক (Water Based)
অয়েল বেইজড পেইন্ট বা তেল-ভিত্তিক পেইন্টঃ
সাধারনত লোহা, ধাতব এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র মরিচা থেকে রক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয় তেল-ভিত্তিক রঙ। এই প্রকার রঙ পানি-ভিত্তিক পেইন্টের চেয়ে ভাল ফিনিস দেয় যা দেখতে বেশ চকচকে থাকে।
আপনার দেয়ালের এখনকার রঙ তেল-ভিত্তিক না পানি-ভিত্তিক তা জানার জন্য, একটা পাতলা সুতার কাপড়ে হ্যান্ডস্যানিটাইজার লাগিয়ে কিছুক্ষন উপর-নীচ করুন বা ঘষুন। যদি দেয়ালের রঙ নরম হয়ে কাপড়ের সাথে উঠে আসে তাহলে বুঝা যাবে এটি পানি-ভিত্তিক রঙ। যদি স্যানিটাইজার মেশানো কাপড় দেয়ালের রঙ তুলতে না পারে, তাহলে বুঝা যাবে এটি তেল-ভিত্তিক রঙ।
ওয়াটার বেইজড বা পানি-ভিত্তিক (Water Based) পেইন্ট
সাধারনতঃ দেয়াল এবং সিলিং-এ ওয়াটা বেইজড পেইন্ট ব্যবহার করা হয়। কারণ, এটা অয়েল বেইজড পেইন্টের চেয়ে সহজে পরিস্কার করা যায় এবং কম বিষাক্ত বা ক্ষতিকর। ওয়াটার বেইজড পেইন্ট অনেক রকমের সেড বা কালার এবং অনেক রকমের সীন (Sheen) বা দিপ্তীতে পাওয়া যায়। যেমনঃ ম্যাট, এগশেল, এবং হাই-গ্লস।
ওয়াটার বেইজড পেইন্ট আগে ওয়াটার বেইজ পেইন্ট দিয়ে রঙ করা দেয়ালে বা সারফেসে প্রয়োগ করা উত্তম। তবে, হালকা বা ফ্লাট অয়েল বেইজ পেইন্ট করা দেয়ালেও ওয়াটার বেইজড পেইন্ট ব্যবহার করা যায়। কিন্তু লোহা বা ধাতব পদার্থের উপর সরাসরি ওয়াটার বেইজড পেইন্ট ব্যবহার করা যাবে না। কারন এতে ওয়াটার বেইজড পেইন্ট লোহা বা ধাতব পদার্থে মরিচা সংক্রমন করবে। প্রাইমার বা সিলার যথাযথ ব্যবহারের পর ব্যবহার বা প্রয়োগ করা যাবে। ওয়াটার বেইজড পেইন্ট ওয়াল পেপারের উপরও ব্যবহার করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে, ওয়াল পেপারে পানির সংস্পর্শের কারনে ওয়াল পেপার উঠে আসার সম্ভাবনা থাকে।
ল্যাটেক্স পেইন্টকে প্রায় সময় ওয়াটার বেইজড বা পানি-ভিত্তিক (Water Based) পেইন্ট বলা হয়।
ল্যাটেক্স পেইন্টঃ
প্রায়শ ল্যাটেক্স পেইন্টকে আমাদের দেশে ‘এক্রেলিক ল্যাটেক্স’ বা ‘ওয়াটার বেইজড ল্যাটেক্স’ বলা হয়। অনেকে একে ‘ওয়াটার বেইজড পেইন্ট’ বা ‘পানি –ভিত্তিক পেইন্ট’ও বলে। কারন এই প্রকার রঙ-এ প্লাস্টিক রেজিন দিয়ে তৈরী এক্রেলিক বা পলিভিনাইল থাকে যা দেয়ালের সাথে বন্ডিং তৈরীতে খুবই সহযোগী।