২৫তম বার্জার তরুণ শিল্পী চিত্রকর্ম প্রতিযোগিতা ২০২০ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত


কোটিংস্টুডে ডেস্কঃ রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত বার্জার হাউজে ২৫তম বার্জার তরুণ শিল্পী চিত্রকর্ম প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে, গত ২৮শে ডিসেম্বর ২০২০।
বার্জার ১৯৯৬ সাল থেকে এই চিত্রকর্ম প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। চলতি বছর এই প্রতিযোগিতাটির ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। বর্ণিল আয়োজনে চলতি বছর প্রতিযোগিতাটির রজত জয়ন্তী উদযাপন করছে বার্জার পেইন্টস। দেশের উদীয়মান চিত্রশিল্পীদের উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে প্রতিবছরই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশের মেধাবী ও দক্ষ তরুণ চিত্রশিল্পীরা নিজেদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্য সঠিক জায়গা, যথেষ্ট উৎসাহ ও বেশি পরিমাণে জনগণের কাছে নিজেদের কাজগুলোকে উপস্থাপন করতে পারে না বলে সঠিকভাবে তাদের সম্ভাবনাসমূহেরও বিকাশ ঘটাতে পারে না। তাই, এ সকল তরুণদের সম্ভাবনা উন্মোচনে বার্জার পেইন্টস এই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে তরুণ চিত্রশিল্পীরা তাদের দুর্দান্ত শিল্পকর্মগুলোর মাধ্যমে সারাদেশে জনপরিচিতি অর্জন করতে পারবেন।
বার্জার পেইন্টস’র সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং -এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মহসীন হাবিব চৌধুরী অতিথিদের স্বাগত জানান এবং এ প্রতিযোগিতার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন। তিনি বিগত ২৫ বছর ধরে তরুণ চিত্রশিল্পীদের বিকাশে এই প্রতিযোগিতাটির নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন ও ২৫তম তরুণ শিল্পী চিত্রকর্ম প্রতিযোগিতার জুরি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নিসার হোসেন চলতি বছরের আয়োজনটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে এই আয়োজনটি সফলভাবে শেষ করতে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিবছর প্রতিযোগিতাটির সফলভাবে আয়োজন করার জন্য আর্টিস্ট কমিউনিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘এই বছর বেশ কিছু দুর্দান্ত চিত্রকর্ম জমা পড়েছে। তরুণ চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্মগুলো দেখে আমি সত্যিই অভিভূত হয়েছি। ১৯৯৬ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতিবছরগুলোতেই এই প্রতিযোগিতায় অংশ্রগহণকারীর সংখ্যা ও চিত্রকর্ম জমা পড়ার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাংলাদেশের
তরুণদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে এই প্রতিযোগিতাটির যথার্থতাকেই প্রকাশ করে করে।’
’লকডাউন’ শীর্ষক চিত্রকর্মের জন্য চলতি বছর জয়তু চাকমা প্রথম স্থান অধিকার করেন। সুমাইয়া মেহনাজ জয়া ও রুমানা রহমান যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এছাড়া, প্রতিযোগিতার শীর্ষ ছয়ে ছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ সাইফ আলী ও শাহেদ হোসেন। এ বছর ৩৯২ জন প্রতিযোগী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং ৭৭২টি চিত্রকর্ম জমা পড়ে। অধ্যাপক নিসার হোসেন, অধ্যাপক শেখ আফজাল হোসাইন, আসমিতা আলম শাম্মী, আহমেদ শামসুদ্দোহা, কনক চাঁপা চাকমা ও ড. মোহাম্মদ ইকবাল আলীর মতো প্রথিতযশা চিত্রশিল্পীর সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ড বিজয়ীদের নির্বাচন করেন। বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে প্রাইজ মানি, ক্রেস্ট, সনদ প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা কলকাতার রবীন্দ্র ভারতীতে চিত্রকলা বিষয়ক কর্মশালায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।